কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প
পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩
পর্ব-৪
পর্ব-৫
পর্ব-৬
“ম্যাম আমার প্রথম সমস্যা হলো, অনেক অস্থিরতায় ভুগি সাথে বেশি ভয় পাই! আগে মাঝে মাঝে প্যানিক এটাক হতো, বদ্ধ জায়গায় বেশি ভয় লাগে! এগুলা ছাড়াও মেইন সমস্যা হলো ইনসেক্যুরিটি! সব কিছুতে অনেক ভয় কাজ করে! Self-confidence nearly zero!” মানুষটি পেশাজীবী, বিয়ে করেন নাই, সম্পর্কেও জড়াননি۔ কারণ ওর ‘ভিতরের আমি’ এতটাই বেশি কাতর যে, নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিতে নিজের অস্থিরতার কারণ খুঁজতে খুঁজতে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ার মতই এরপরের লেয়ারে উঠে আসে প্যানিক এটাক, তারপর সেটা ট্যাকেল করতে না করতেই তার নিচে খুঁজে পায় ইনসেক্যুরিটি۔ তার নিচে ভয়, এভাবে চলতেই থাকে۔ মানুষটির মনের গহীন কুয়ায় প্রতি ধাপে ধাপে বদ্ধ জায়গার আরও কত কিছু যে লুকিয়ে আছে সে নিজেও জানে না۔ নিজেকে বুঝতে না পারার এইবোধ থেকে ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকে আত্মবিশ্বাস۔ নিজেকে তুচ্ছ মনে হতে থাকে সবার থেকে۔ তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প۔ মানুষটি নিজেকে একটু একটু করে গুটিয়ে নিতে থাকে চার দেয়ালের মাঝে۔ তার “ভিতরের আমি” আরও কুঁকড়ে যেতে থাকে অযত্নে, অবহেলায়۔ কারণ নিজেকে নিজের মতো করে নিজে না বুঝলে বাইরের কে বুঝবে? কেউ আসবে না মনের কালকুঠুরি থেকে উদ্ধারে۔ আমরা আমাদের চারপাশের আন্তঃসম্পর্কগুলিকে যতটুকু যত্ন করি “ভিতরের আমি”কে কি আদৌ প্রতিদিন ততোটুকু যত্ন করি? “আমার আমি” কি চাই তাঁর সেই ছোট্ট ছোট্ট নির্দোষ চাওয়া পাওয়াগুলি কি মিটাই? ছেলে মাছ খায় না বলে এই অকালের বাজারে আমার মাছ পছন্দস্বত্বেও দিনের পর দিন আমি ওর পছন্দকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে মাংসই করছি۔ একটু ভেবে বলুনতো নিজের ভালো লাগার কোন কাজটা শেষ কবে করেছেন ? আগে না করলে এখন শুরু করতে দোষ কি ? সেলফ কেয়ার মানে কিন্তু সেল্ফিশ না۔ অন্যকে যত্ন করার পাশাপাশি যাঁরা নিজের “ভিতরের আমি”র যত্ন করেন তাঁদের জন্য অনেক ভালোবাসা۔
পর্ব-৭
” জানেন আমার নিজের মা বলে আমারই দোষ, আমি ওকে বেঁধে রাখতে পারি নাই۔ মেয়েদের বেঁধে রাখতে পারাটা নাকি শিখতে হয়۔ আমার সেই শিক্ষা নাই۔”
মেয়েটি একটা প্রথম শ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছে۔ যার আন্তর্জাতিক রাঙ্কিং ১০০’র মধ্যে۔
কলেজ থেকে প্রেম۔ দুজনে দুজনার চোখ দেখলেই মনের কথা বুঝে এমন গাঢ় সম্পর্ক۔ তারপর দেশে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে স্কলারশিপ নিয়ে মেয়েটা পাড়ি জমালো সাতসমুদ্র তেরো নদী পাড়ে আরও পড়াশুনা করতে, প্ল্যান ছিল মেয়েটি ছেলেটিকেও নিয়ে যাবে۔ ইতিমধ্যে ছেলেটি দেশেই টুকটাক টিউশনি করার সাথে সাথে বেছে নিয়েছিল বিসিএসের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন সাধনা۔ অবশেষে সেই মহার্ঘ্য চাকরি নামের সোনার হরিণ ছেলেটির হাতে আসলো ঠিকই কিন্তু মেয়েটি এবার সত্যি সত্যিই ছেলেটার মনোভূমিতে আক্ষরিক অর্থেই পররাষ্ট্র হয়ে গেলো۔ ছেলেটি সম্পর্কটি ভেঙে দিলো۔
তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প۔
সম্পর্ক হয় 2 জন মানুষের মধ্যে۔ মেয়েটি সেই পুরানো মোড়েই দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ছেলেটি সেই মোড় ছেড়ে অন্য রাস্তায় পা বাড়িয়েছে۔ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন চাবি অন্যজন তালার ভূমিকা পালন করে۔ খাপে খাপে না বসলে মাধুর্যের লক খুলবে কেন?
প্রতিটি সম্পর্ক হচ্ছে ব্যাংকের ট্রান্সেকশনের মতো۔ একজন শুধু দেবে অন্যজন তার বিনিময়ে যদি শুধু নিতেই থাকে তবে এখনই সতর্ক হোন۔ সঙ্গী হাটু পানিতে নামলে আপনি তার জন্য গলা পানিতে নামুন কেউ নিষেধ করছে না۔ কিন্তু একটু খেয়াল করুন তো কোন ইস্যু নিয়ে কখনো কি একবারের জন্য হলেও সে আপনার জন্য গলা পানিতে নেমেছিল?
মানুষের দিনে দিনে জামার মাপ যেমন বদলায় তেমন সম্পর্কের চাহিদাও বদলায়۔ সেই পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে যদি সঙ্গী ছুটে যায় অন্য মোড়ে তার একক সম্পূর্ণ দায়ভার কি একান্তই আমার? অব্যশই না۔ কারণ সম্পর্ক হলো হ্যান্ডশেকের মতো আমি হাত বাড়ালাম আর সে বাড়ালো না, তাইলে তো হ্যান্ডশেক হলো না۔ একটা সম্পর্ককে রক্ষা করবার দায়িত্ব উভয়ের۔ একজনের উড়ু উড়ু মন অন্যজন বেঁধে রাখবার অক্লান্ত চেষ্টায় প্রতিদিন অদৃশ্য যুদ্ধ করছে এই মাইন্ড সেট পাল্টানোর সময় এসেছে۔
সঙ্গী যদি ছুটে যায় সসম্মানে তাকে মুক্তি দেয়াই ভালো۔ কারণ জল ঘোলা করে সম্পর্ক জোরজবরদস্তি টিকিয়ে রাখলেও সেই ঘোলা জলে কারোরই সম্পর্কের তৃষ্ণার পানির চাহিদা মিটাবে না۔ তাই ওই পুরাতন কথা, ” পাখিটিকে ছেড়ে দাও সে যদি ফিরে আসে পাখিটি তোমার۔” এটাতে ২টা লাভ প্রথমত পাখিও বুঝলো অন্য ক্ষেতের দানাপানি তার সহ্য হয়না۔ আর দ্বিতীয়ত পাখি যদি চলেই যায় আপনিও বুঝলেন এই পাখি না আপনার ছিলই না۔ তাই গেছে আপদ বিদায় হয়েছে۔
পর্ব-৮
ভদ্রলোক ও তাঁর স্ত্রী 2 জনই চাকরি করতেন۔ এখন জুন থেকে কারোর চাকরি নেই۔ মেয়ে পড়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে۔ ছেলেটা কলেজে۔ ছোটটা স্কুলে۔
এর মধ্যে ফ্লাট এর লোন মাসে মাসে শোধ করতে হয়۔ থোক টাকা বেরিয়ে গেছে ফ্ল্যাটের ডাউন পেমেন্টে۔ ভদ্রমহিলা বুদ্ধিমতী۔ পরামর্শ দিচ্ছেন সীমান্তবর্তী মফস্বল শহরে ভদ্রলোকের পৈতৃক ভিটেবাড়িতে কিছুদিন থাকতে۔ কারণ এতে অন্তত বাড়ীভাড়াটা বাঁচবে۔ আর বাচ্চাদের তো অনলাইনে ক্লাস۔ তাই যেখানেই থাকুক কোনো সমস্যা নেই۔
কিন্তু ভদ্রলোক এটা মেনে নিতে পারছেন না۔ বলছেন, ” আপা নিজেকে অক্ষম মনে হচ্ছে, ওটা তো নামেই শহর আদতে গ্রাম۔ যেইখানে আমার বাবাই আমাকে রাখেন নাই ওইখানে আমার আজীবন ঢাকায় জন্মকর্ম বাচ্চাদের কিভাবে নিয়ে ফেলবো ? আপনার ভাবীর সবাই ঢাকায় সেটল ওদের কি ভাবে মুখ দেখাবো, গ্রামের নিজের পরিচিতদের কি মুখ দেখাবো, লজ্জায় আমার মরে যেতে ইচ্ছা করছে?”
তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প۔
কথায় আছে “A penny saved a penny earned.” তাই এখন জমানোর স্বভাব গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন۔
এই বৈশ্বিক মহামারীতে কিছু কিনতে হলে হুট করে না কিনে একটু ভেবে দেখি ওটা ছাড়া বিকল্প কি কি অপসন আছে আমার চলার মতো۔ খুব দরকার না হলে খরচ না করি۔
কারণ, ” সম্প্রতি বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সমীক্ষা বলছে, লকডাউন ও সাধারন ছুটির ৬৬ দিনে দেশের ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কাজ হারিয়েছে। ৫ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের শ্রেণি কাঠামোতে পরিবর্তন হয়েছে। হত দরিদ্রদের তালিকায় নতুন করে ২ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ যোগ হয়েছে। এদিকে ব্র্যাকও বলছে, ৯৩ শতাংশ মানুষের আয় কমে গেছে।” ( তথ্য সূত্র সংযুক্ত )
তাই সাময়িক যদি আমার খরচ কমাতে হয়, ছোট বাসায় শিফট করি, গিফট দিতে না পারি এতে লজ্জার কিছু নেই۔ এই সময়ের এটাই ট্রেন্ড۔
একটু অপেক্ষা করি۔ এই অতিমারী কমবে۔ আবার নতুন কাজের জায়গা তৈরী হবে۔ ততদিন পর্যন্ত শুধু নিজেদের বাঁচিয়ে রাখি, সুস্থ রাখি۔ এরপরে আবার একদিন হুলুস্থূল পার্টি হবে۔ সেই বিশ্বাস মনে রাখি۔ আর সেই আমোদ আহ্ললাদে আমাকে দাওয়াত দিতে ভুলবেন না কিন্তু-
পর্ব-৯
ব্রিটিশ বাংলাদেশী চিকিৎসক Dr. Farzana Hussain-র ছবি লন্ডনের সুবিখ্যাত মোড় পিকাডেলিতে বিলবোর্ডে۔ তিনি GP of the year নির্বাচিত হয়েছেন UKতে۔ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন۔ স্যালুট۔
কিন্তু, এই ছবি দেখে কারো মনে হতে পারে এই হিজাবি মহিলা বাজারের মোড়ে সবাইকে মুখ দেখিয়ে নিজে দোজখে যাবে!
কিংবা,
ওই সমাজের ব্যাটাগুলি কই? কেন মহিলার ছবিই দিতে হবে? ইত্যাদি, ইত্যাদি!
এমন ভাবনা আসলে নিজের মাইন্ড সেট আপের দিকে একটু খেয়াল করতে বলবো۔
কারণ এখানে যখন একজন মানুষের প্রশংসা করা হচ্ছে তাঁর সেবাকর্মের জন্য۔ আপনি সেখানে নারীমাংস খুঁজছেন নাতো? আপনি কি এভাবেই সবখানে মেয়েদের খেয়াল করেন? আপনার মাইন্ড সেটআপ কি বলে?
ভালো কাজের নির্দেশ নারীপুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষের জন্যই প্রযোজ্য۔ তাহলে কাজের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের এই বিভাজন কি আপনার মাইন্ড সেটআপের লিমিটেশন? তাই যদি হয় আপনি কি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার ক্লাস, বাড়ির বুয়ার রান্না, কিংবা গার্মেন্টসের নারী কর্মীর সেলাই করা কাপড়পড়া বর্জন করেছেন?
স্রষ্টার প্রার্থনা শুরু হয় প্রশংসা দিয়ে۔ সৃষ্টিকর্তা তাঁর রঙে রঞ্জিত হতে বলেছেন কারণ তিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু, উদার, পূর্ণাঙ্গ۔ ক্ষুদ্রতা স্রষ্টার নেই, ক্ষুদ্রতা আছে মানুষের۔ চিন্তার লিমিটেশন স্রষ্টার নেই۔ limitation of thoughts হলো মানুষের মনোজগতের ভাবনার জায়গার একান্ত ব্যাক্তিগত সীমাবদ্ধতা۔
ধর্মবিশ্বাস বা অবিশ্বাস প্রতিটি মানুষের একান্ত অধিকার۔ সেখানে জবরদস্তি চলে না۔ ধর্মান্ধতার কুৎসিত কূপমণ্ডূকতার যূপকাষ্ঠে যুগে যুগে বলি হয়েছে মানবতা۔ ঠিক যেমন এই ছবিটি দেখে কেউ প্রশংসামুখর কেউ পান নারী মাংসের ঘ্রান۔
তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প۔
যারা ঘ্রানজীবি তারা নিজেরাও কিন্তু ভালো থাকে না۔ সব কিছুতে এতো এতো খুঁত ধরতে ধরতে নিজেরাও যন্ত্রনায় ভোগে নিখুঁত কেন হচ্ছে না সেই ভাবনার লিমিটেশনে۔ নিজে খিটখিট করেন কষ্ট পান আর আশেপাশের মানুষকেও অতিষ্ঠ করেন۔
রবীন্দ্রনাথের একটা সুন্দর কথা আছে, ” মন না রাঙায়ে কি ভুল করিলে কাপড় রাঙালে যোগী ۔”
স্পিরিচুয়ালিটি অনুভবের মুগ্ধতা۔
যাঁরা মানুষকে সম্মানের সাথে তাঁর কাজের জন্য মূল্যায়ন করেন তাদের জন্য অনেক ভালোবাসা
পর্ব-১০
বিয়ে হয়েছে বছর খানেক۔ প্রেমের বিয়ে۔ আলাদা বাসা নিয়ে টোনাটুনি সংসার۔ দুজনেই নিজ পরিবারে খুব আদরের۔ এই আদরের নামেই বিয়ের পর উভয় পরিবারের খবরদারি শুরু হল۔ প্রথম প্রথম সেটা যত্ন মনে হলেও ধীরে ধীরে অসহ্য হয়ে উঠলো উভয়ের কাছেই۔ জয়েন্ট ফ্যামিলিতে না থাকা স্বত্বেও দুজনের মধ্যে শুরু হল “আমার বাড়ী তোমার বাড়ী” নিয়ে টানাপোড়ন۔ এর মধ্যে বাচ্চা কেন নিচ্ছে না সেই দুশ্চিন্তায় পরিবারের লোকজনের তো বটেই এমনকি পাড়ার মাসতুতো নানার পিসতুতো খালার পোষা বিড়ালটিও ঘুম হচ্ছে না বিধায় উপদেশের বন্যা বইয়ে দিতে থাকলো۔ একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়গুলি আর একান্ত থাকলো না ; সেটা ঝড় তুললো চা এর টেবিলে, পারিবারিক দাওয়াতে বা ফোনে আলোচনার বিষয়বস্তুতে۔
মেয়েটি বলছিলো, ” ধরুন, কেউ যখন ব্যক্তিগত সম্পর্গুলোয় টানাপোড়েনে থাকে তখন অন্যরা নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে বা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সেটাকে জাজ করে বা উপদেশ দেয়। ওর বাড়ীর হলে ও বলে, ‘এতো রিএক্ট করবার কি আছে ?’ আমার বাড়ী হলে আমি বলি, ‘এমন করার কী আছে, এটাকে স্বাভাবিকভাবে নাও’।মাঝখান থেকে আমাদের দূরত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে۔ “
এরপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প۔
সব সম্পর্কেরই নিজস্ব প্যাটার্ন থাকে। আস্তে আস্তে সেটা দানা বাধে۔ আপনার জুতোর মাপ আর যাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে তার জুতোর মাপ এক না۔ তাই উপদেশ দিতে গেলে বা সেই সস্পর্কর সমস্যাগুলোর সমাধানে কাউকে সাজেশন দিতে গেলে ওই প্যাটার্ন অনুযায়ী দেয়া অন্যের পক্ষে সম্ভব না। গায়ে পড়ে উপদেশ দেওয়া হয়তো আপনার মনে হচ্ছে মহৎ কাজ কিন্তু বিশ্বাস করুন যাকে দিচ্ছেন তাঁর জন্য দারুন বিরক্তিকর۔ হয়তো আপনি বড় বলে সে কিছু বলতে পারছে না۔
2 জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সংসার করছে۔ তাদের সমস্যা তাদের সমাধান করতে দিন۔ তাদের বুদ্ধিমত্তায় আস্থা রাখুন۔
অন্যের সম্পর্কে যারা পিনোকিয়োর মতো লম্বা নাক গলিয়ে উপদেশের বন্যা বইয়ে দেয় না তাদের জন্য অনেক শ্রদ্ধা۔